মুসলমান


‘স্বয়ংসৃষ্ট’ নয়,-তবে, সৃষ্টিশ্রেষ্ঠ উপাদান ;


‘বিশেষ কিছু’র নয়,-তবে, ‘মহাসাধারণ’-এর পুজারী ;


অ-বৈরাগী, সর্বস্বার্থধারী সাধারণ সামাজিক সংসারী ;


সৃষ্টির ভারসাম্য রক্ষাতে প্রতিনিধিরূপে দায়িত্বপ্রাপ্ত ;


যে-কোনো স্থানে কালে নিজ গোষ্ঠীবিধানের ওপরে


ব্যক্তিধর্ম যার ‘শান্তির লক্ষ্যে আত্মসমর্পণ’ ;


অকপট চেষ্টা যার সার্বিক মানবকল্যাণ ;


যে-জন আত্মকর্মে ব্যস্ত, তবে, অনড় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যোদ্ধা,


শান্তির পক্ষে,-অথবা যে-কোনো ফ্যাসাদের বিরুদ্ধে,


যে-কোনো জাতধর্মের সচেতন শান্তিকামী যোদ্ধা,


ধৈর্যে-সহ্যে-কর্মে-ভাবাচরণে আছে যার সত্য প্রমাণ ;


সৎসাহসী, আত্মসম্মানিত, নিজের ভয়ে ভীত,


যার আছে একাধিক সাক্ষ্যদাতা ‘মহাবিশ্ববিধানে’,


-অর্থাৎ, সাধারণ বর্তমান জনগণে,


-সে-ই সর্ব্বোচ্চ সম্মানধারী পরম বিচারে।


সংক্ষেপে,-


overall peace চাচ্ছে যে-জন লণ্ডনের ভাষায়,


কিম্বা, যে মানবসন্তানটি হিন্দিতে শান্তি চায়,


কিম্বা, কর্মে-আচরণে যাকে শান্তিকামী দেখা যায় বাংলায়,


-যে-কোনো জাতের সেই সচেতন মানবসন্তানটি নিঃসন্দেহে


সর্বকালের উদ্যানপ্রাপ্ত, ওয়াদখুলি জান্নাতি, the paradisee,


সর্বকালের স্বর্গবাসী সফল চরিত্র,-


এবং, একটি বিশেষণে তার বৈশিষ্ট্য চেনায় চিরন্তন বিধান,


-আরব্য ‘সল্ম্’ থেকে ধার করা বাংলা শব্দ ‘মুসলমান’।


ব্যক্তির ‘বৈশিষ্ট্য চিহ্নিতকারী’ ঐ ‘মুসলিমুন’ শব্দটি


  কখনোই নয় কোনো দেশের বা জাতির নাম,


      -নয় কোনো বিশেষ সম্প্রদায়ের নাম।



রঙ্গপুর -১১/০৯/২০০২